দশ দিনের ব্যবধানে বঙ্গোপসাগরে আবার লঘুচাপের কবলে পড়েছেন জেলেরা। লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং বোট বহর মাছ ধরা বন্ধ রেখে দু-দিন যাবৎ সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে আছে। আবহাওয়া বিভাগ ৩নং সতর্ক সংকেত জারি করেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার ভেদাখালী খালে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ফিশিংবোট মাঝি বাগেরহাটের বগা এলাকার ইলিয়াস হোসেন, গতকাল বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, “সাগরে ঝড়ো হাওয়ায় সৃষ্ট উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে গত দু-দিন যাবৎ অনেক ফিশিংবোট সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।” বর্তমানে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সাথে সাগরে ঝড়ো হাওয়া বইছে বলে মাঝি ইলিয়াস হোসেন জানান।
শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, দশদিনের ব্যবধানে সাগরে আবার লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে ঝড়ো হাওয়া বইছে প্রবল ঢেউয়ে মাছ ধরতে না পেরে দুইদিন যাবৎ সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শত শত ফিশিংবোট নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে ১৮ আগস্ট সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল।
সোমবার রাত থেকে ফিশিং বোট বহর উপকূলের দিকে ছুটতে শুরু করে। সুন্দরবনের মেহের আলী, “ভেদাখালী, আলোরকোল খালসহ উপকূলের মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটা, শরণখোলা, রায়েন্দাসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এ বছর কয়েকদিন পরপর সাগরের আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে বলে আবুল হোসেন জানান।
পূর্ব সুন্দরবনের জেলেপল্লী দ্বুলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টের সুব্রত কুমার দাস মোবাইল ফোনে গতকাল বুধবার দুপুরে বলেন, “লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝড়ো বাতাসে সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং বোট সমূহ উপকূলের দিকে চলে গেছে কিছু ফিশিংবোট সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে ঐ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম